আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন, আপনার সময়টা কি সঠিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে?
গবেষণায় দেখা গেছে, একজন মানুষ গড়ে দিনে ৩২ বার ইমেল চেক করে এটি শুধুই অভ্যাস নয়, এটি একটি ভয়ঙ্কর প্রোডাকটিভিটি কিলার।
এই পোস্টে আমি শেয়ার করব বাংলায় ব্যবসার হ্যাকস ১০টি সহজ কিন্তু কার্যকর ব্যবসায়িক হ্যাক, যা আপনি আজ থেকেই ব্যবহার করে আপনার উৎপাদনশীলতা বাড়াতে পারেন। এগুলো কোনো বাহুল্যভরা পরামর্শ নয়, বরং বাস্তবে কাজ করে এমন বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত কৌশল।
এই হ্যাকগুলোর সাহায্যে আমি আমার ক্লায়েন্টদের সময়ের ৪০% পর্যন্ত সাশ্রয় করতে সাহায্য করেছি। এতটাই সহজ পদ্ধতি যে আপনি নিজেই ভাববেন এইগুলো আগে শুরু করিনি কেন?
কিন্তু সতর্ক থাকুন প্রথম হ্যাকটি এতটাই শক্তিশালী যে এটা আপনার কাজের ধরনই বদলে দিতে পারে!
সময় ব্যবস্থাপনার কৌশল

Boost Your Focus with the Pomodoro Technique
আপনি কি কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে পারেন না? পমোডোরো টেকনিক আপনার ত্রাণকর্তা হতে পারে। এই পদ্ধতিতে আপনি ২৫ মিনিট কাজ করবেন, তারপর ৫ মিনিট বিরতি নেবেন। চার সেশন পর একটি লম্বা বিরতি (১৫-৩০ মিনিট) নিবেন।
আমি নিজে এটা ব্যবহার করি, আর বিশ্বাস করুন বা না করুন, আমার উৎপাদনশীলতা প্রায় ৪০% বেড়ে গেছে। আপনার মস্তিষ্ক সীমিত সময়ে ফোকাস করতে ভালোবাসে। সময় সীমা থাকায় আপনি এখনই শেষ করতে হবে মনোভাব নিয়ে কাজ করেন।টাইমার সেট করুন, ফোন সাইলেন্ট করুন, আর শুরু করে দিন।
Prioritize Tasks with the Eisenhower Matrix
সব কাজই সমান গুরুত্বপূর্ণ নয়। আইজেনহাওয়ার মেট্রিক্স দিয়ে আপনি সহজেই কাজের প্রাথমিকতা ঠিক করতে পারেন। এটা চারটি ভাগে বিভক্ত:
জরুরি | জরুরি নয় | |
গুরুত্বপূর্ণ | অবিলম্বে করুন | নির্ধারিত সময়ে করুন |
গুরুত্বপূর্ণ নয় | অন্যকে দিন | বাদ দিন |
গত মাসে এই মেট্রিক্স ব্যবহার করে আমি একটা বড় প্রজেক্ট সময়মতো শেষ করেছি। আগে যা জরুরি মনে হত, দেখলাম অনেক কিছুই আসলে বাদ দেওয়ার যোগ্য।
Where’s Your Time Going? Identify the Hidden Thieves
আপনার দিনের অনেক সময় নষ্ট হয় এমন জিনিসগুলোতে যা আপনি খেয়ালই করেন না। সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রোলিং, অপ্রয়োজনীয় মিটিং, ইমেইল বার বার চেক করা – এগুলোই সময় চোর।
একটা পরীক্ষা করুন: এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন কোথায় কত সময় যায় তার হিসাব রাখুন। অবাক হবেন দেখে! আমি যখন এটা করলাম, বুঝতে পারলাম প্রতিদিন গড়ে ৯০ মিনিট শুধু ফোন চেক করতেই চলে যায়।
সময় চোর চিহ্নিত করার পর, সেগুলোকে সীমিত করুন। ফোন অ্যাপের ব্যবহার সীমিত করুন, নির্দিষ্ট সময়েই ইমেইল চেক করুন।
Boost Productivity with the Batching Technique
একই ধরনের কাজগুলো একসাথে করার নাম ব্যাচিং। এতে কাজের মধ্যে স্যুইচিং কস্ট কমে যায়। মস্তিষ্ক একই ধরনের কাজে বেশিক্ষণ থাকলে আরও দক্ষ হয়ে ওঠে।
উদাহরণ হিসেবে:
- সকালে শুধু ইমেইল চেক ও রিপ্লাই করুন
- দুপুরে মিটিং রাখুন
- বিকেলে ক্রিয়েটিভ কাজ করুন
- সন্ধ্যায় পরিকল্পনা করুন
আমি যখন থেকে ব্যাচিং শুরু করেছি, দেখেছি একই সময়ে আগের চেয়ে ৩০% বেশি কাজ করতে পারি।
ডিজিটাল টুল অপ্টিমাইজেশন

Project Management Software That Will Boost Your Productivity
আপনি কি কাজের চাপে হাবুডুবু খাচ্ছেন? অনেকেই এমন অবস্থায় পড়েন। কিন্তু একটা ভালো প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট টুল আপনার জীবন সহজ করে দিতে পারে। Trello, Asana, বা Notion,ব্যবহার করে দেখুন। এগুলো শুধু কাজই সাজায় না, আপনার মাথাও গুছিয়ে দেয়।
ট্রেলো’র কানবান বোর্ড দিয়ে কাজগুলো করতে হবে, চলছে আর শেষ – এই তিন ভাগে সাজিয়ে রাখতে পারেন। আসানাতে টাইমলাইন ভিউ আছে, যেখানে কোন কাজ কবে শেষ করতে হবে সব এক নজরে দেখা যায়। নোশন আবার সব একসাথে করে – নোট, টাস্ক, ডাটাবেস সবই।
সবচেয়ে ভালো হয় যদি টিমের সবাই একই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেন। তাহলে কাজের অগ্রগতি সবাই দেখতে পারেন, দ্বিগুণ কাজ হয় না, আর কে কী করছে সেটাও পরিষ্কার থাকে।
Set Up an Automated Email Filtering System
ইমেল বক্স দেখে মাথা ঘুরে যায়? প্রতিদিন শত শত ইমেল আসে, তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ মেইল খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। এখনই স্মার্ট ফিল্টার সিস্টেম সেট করুন।
জিমেইল ব্যবহার করেন? ফিল্টার অপশন দিয়ে ইমেলগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে লেবেল করুন। যেমন “ক্লায়েন্ট”, “টিম”, “নিউজলেটার” ইত্যাদি। এছাড়া প্রায়োরিটি ইনবক্সও সেট করতে পারেন, যেখানে শুধু গুরুত্বপূর্ণ মেইলগুলোই দেখাবে।
আরেকটা কাজের টিপস – সারাদিন বারবার ইমেল চেক করবেন না। দিনে ২-৩ বার নির্দিষ্ট সময়ে ইমেল দেখুন। বাকি সময় নোটিফিকেশন বন্ধ রাখুন। দেখবেন মনোযোগ বাড়বে।
Smart notification management
আমরা সবাই নোটিফিকেশনের দাস হয়ে গেছি। ফোন বিপ করলেই লাফিয়ে উঠি। এই অবস্থা থেকে বেরোতে হবে।
স্মার্টফোনে ডু নট ডিসটার্ব মোড অন করুন কাজের সময়। শুধু গুরুত্বপূর্ণ কলগুলো আসতে দিন। স্ল্যাক বা টিমস ব্যবহার করেন? ফোকাস টাইম সেট করুন, যখন কেউ আপনাকে ডিসটার্ব করতে পারবে না।
সোশ্যাল মিডিয়া নোটিফিকেশন বন্ধ করে দিন। কাজের সময় ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম এর নোটিফিকেশন দরকার নেই। আর ব্যক্তিগত ফোন ব্যবহার করেন অফিসে? তাহলে কাজের সময় সাইলেন্ট মোডে রাখুন।
বাচ্চারা বলে Out of sight, out of mind– নোটিফিকেশন না দেখলে মন সেদিকে যাবেও না। আর আপনি বেশি কাজ করতে পারবেন একটানা।
কার্যকর মিটিং কৌশল

স্ট্যান্ডিং মিটিং চালু করুন
বসে বসে ঘন্টার পর ঘন্টা মিটিং করে কি প্রাণ বেরিয়ে যায়? স্ট্যান্ডিং মিটিং চালু করুন। বাস্তবতা হল – দাঁড়িয়ে থাকলে মানুষ স্বাভাবিকভাবেই কম সময় নিয়ে কথা বলে। গবেষণায় দেখা গেছে, স্ট্যান্ডিং মিটিং বসে করা মিটিংয়ের তুলনায় ৩৪% কম সময় নেয়, অথচ সিদ্ধান্ত নেওয়ার মান একই থাকে।
সকালের স্ক্রাম মিটিং বা দ্রুত আপডেট নেওয়ার জন্য চেয়ার ছাড়াই সবাইকে জড়ো করুন। আপনি দেখবেন, ১০-১৫ মিনিটের মধ্যেই কাজের কথা শেষ হয়ে যাচ্ছে।
আলোচনার জন্য স্পষ্ট এজেন্ডা সেট করুন
এজেন্ডা ছাড়া মিটিং মানে সময়ের অপচয়। প্রতিটি মিটিংয়ের আগে স্পষ্ট পয়েন্ট লিস্ট তৈরি করুন যা নিয়ে আলোচনা হবে। মিটিং শুরুর কমপক্ষে ২৪ ঘন্টা আগে সবার কাছে এটি পাঠিয়ে দিন, যাতে সবাই প্রস্তুত হয়ে আসতে পারে।
আপনার এজেন্ডায় এই বিষয়গুলো থাকা উচিত:
- আলোচ্য বিষয়গুলি (বুলেট পয়েন্টে)
- প্রতিটি টপিকের জন্য বরাদ্দ সময়
- প্রতি বিষয়ে কে নেতৃত্ব দেবেন
- অর্জন করতে চান এমন সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য
Use the meeting timer
সময়ের প্রতি সম্মান দেখান। মিটিংয়ের জন্য একটি টাইমার সেট করুন এবং তার মধ্যেই শেষ করার চেষ্টা করুন। টাইমার সবার চোখের সামনে রাখুন যাতে সবাই সময়ের প্রতি সচেতন থাকে।
আপনি গুগল টাইমার, টাইমার অ্যাপ বা এমনকি সিম্পল ঘড়িও ব্যবহার করতে পারেন। আশ্চর্যজনকভাবে, টাইমার দেখতে পেলে সবাই বেশি ফোকাসড থাকে আর অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা কমিয়ে দেয়।
ফলো-আপ অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করুন
মিটিং শেষে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ – অ্যাকশন প্ল্যান। প্রতিটি মিটিংয়ের শেষে কে কী করবে, কোন ডেডলাইনের মধ্যে করবে, তার একটি স্পষ্ট তালিকা তৈরি করুন।
আপনার অ্যাকশন প্ল্যানে রাখুন:
- কাজের বিবরণ
- দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি
- ডেডলাইন
- পরবর্তী ফলোআপের তারিখ
এই ডকুমেন্টটি সবার সাথে শেয়ার করুন। এতে করে সবাই জবাবদিহিতার আওতায় থাকবে।
Avoid unnecessary meetings.
সত্যি কথা বলতে, অনেক মিটিংই অপ্রয়োজনীয়। প্রতিটি মিটিং ডাকার আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন – এটা কি ইমেল বা স্ল্যাক মেসেজেই হতে পারে?
মিটিং না করার নিয়ম তৈরি করুন। প্রতি সপ্তাহে অন্তত একদিন মিটিং-ফ্রি ডে ঘোষণা করুন, যেদিন সবাই নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করতে পারবে। আপনি দেখবেন এতে উৎপাদনশীলতা বহুগুণে বেড়ে যাবে।
কাজের পরিবেশ অপ্টিমাইজেশন

এর্গোনমিক সেটআপ তৈরি করুন
আপনার ডেস্ক সেটআপ আপনার প্রোডাক্টিভিটি বাড়াতে পারে অথবা ধ্বংস করতে পারে। সঠিক এর্গোনমিক সেটআপ না থাকলে পিঠের ব্যথা, ঘাড়ে টান, কার্পাল টানেল সিনড্রোম – এসব আপনাকে কাজে বাধা দেবে।
আপনার চেয়ার এমন হাইটে রাখুন যেন পা মেঝেতে ফ্ল্যাট থাকে। কনুই ৯০ ডিগ্রি কোণে বাঁকানো থাকলে কীবোর্ড ব্যবহার করা সবচেয়ে আরামদায়ক। মনিটর এমন উচ্চতায় রাখুন যাতে আপনার চোখ স্ক্রিনের উপরের অংশের সমান হয়।
একটা ফুটরেস্ট বা লাম্বার সাপোর্ট কিনে নিন – এই ছোট বিনিয়োগটা দীর্ঘদিন ধরে লাভ দেবে।
অফিস ডেস্ক ক্লাটার কমানোর কৌশল
ডেস্কের গোলমাল শুধু বিরক্তিকর নয়, এটা আপনার মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাও কমায়। গবেষণায় দেখা গেছে অগোছালো পরিবেশে লোকেরা ৪০% কম সময় ফোকাস করতে পারে।
প্রতিদিন কাজ শেষে ৫ মিনিট সময় নিন ডেস্ক পরিষ্কার করতে। তারপর পরের দিন তাজা মন নিয়ে শুরু করুন।
একবার ব্যবহার, একবার সিদ্ধান্ত নীতি অনুসরণ করুন। যেকোনো কাগজ হাতে নিলে তখনই সিদ্ধান্ত নিন: ফাইল করবেন, ফেলে দিবেন, বা কাজে লাগাবেন।
ডিজিটাল ক্লাটারও কমান। ডেস্কটপে শুধু প্রয়োজনীয় আইকন রাখুন, বাকি সব ফোল্ডারে রাখুন।
ফোকাস বাড়ানোর জন্য আদর্শ আলো ও তাপমাত্রা
অনেকেই জানে না যে অফিসের তাপমাত্রা আর আলোর পরিমাণ আপনার কাজের উৎপাদনশীলতা মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করে।
প্রাকৃতিক আলো সবচেয়ে ভালো। যদি জানালার কাছে বসতে পারেন, তবে অবশ্যই সেটা করুন। না পারলে, ফুল-স্পেকট্রাম ডেস্ক ল্যাম্প ব্যবহার করুন যা সূর্যালোকের অনুরূপ।
স্ক্রিনের পিছনে আলো থাকলে চোখের উপর চাপ কমে। সামনে থেকে আলো আসা এড়িয়ে চলুন।
আদর্শ অফিস তাপমাত্রা হলো ২১-২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর চেয়ে ঠান্ডা হলে হাতের আঙ্গুল জমে যায়, গরম হলে ঘুম পায়। একটা ছোট ডেস্ক ফ্যান বা হিটার রাখুন নিজের কম্ফোর্ট জোন মেনে চলতে।
ঘন্টায় একবার উঠে কিছুক্ষণ হাঁটাচলা করুন। এতে রক্ত চলাচল বাড়বে, মন চাঙ্গা হবে, আর নতুন করে ফোকাস করতে পারবেন।
স্মার্ট ডেলিগেশন

কার্যকরভাবে কাজ বণ্টনের ৫টি নীতি
আপনি কি সারাদিন ব্যস্ত থাকেন কিন্তু কাজ শেষ হয় না? এর কারণ হতে পারে আপনি সবকিছু নিজেই করার চেষ্টা করছেন। স্মার্ট ডেলিগেশন আপনার প্রোডাক্টিভিটি বাড়াতে সাহায্য করবে।
১. সঠিক ব্যক্তি বাছাই করুন: প্রতিটি কাজের জন্য সেই ব্যক্তিকে বেছে নিন যার দক্ষতা সেই কাজের সাথে মিলে। কোন টিম সদস্য কোন বিষয়ে পারদর্শী তা জানা থাকলে আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
২. স্পষ্ট নির্দেশনা দিন: কাজটি কী, কেন গুরুত্বপূর্ণ, কবে শেষ করতে হবে – এসব বিষয়ে পরিষ্কার নির্দেশনা দিন। অস্পষ্ট নির্দেশনা ভুল ফলাফল আনতে পারে।
৩. অধিকার দিন: কাজ দেওয়ার পরে সেটি সম্পন্ন করার অধিকারও দিন। অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ না করে তাদের কাজটি নিজের মতো করতে দিন।
৪. সহায়তা প্রদান করুন: নতুন দায়িত্ব পেলে কর্মীদের প্রশিক্ষণ বা সংস্থান প্রয়োজন হতে পারে। তাদের সাফল্যের জন্য প্রয়োজনীয় সব সাহায্য করুন।
৫. ফিডব্যাক দিন: কাজ শেষে সঠিক ফিডব্যাক দেওয়া জরুরি। ভালো কাজের প্রশংসা করুন এবং উন্নতির জন্য পরামর্শ দিন।
Creating a Delegation Matrix
আপনার সময় এবং শক্তি বাঁচাতে একটি ডেলিগেশন ম্যাট্রিক্স অসাধারণ টুল। এটি তৈরি করা খুব সহজ!
প্রথমে, আপনার সব কাজগুলো লিস্ট করুন। এরপর প্রতিটি কাজকে চারটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করুন:
১. জরুরি এবং গুরুত্বপূর্ণ: এই কাজগুলো আপনিই করুন। এগুলো সাধারণত স্ট্র্যাটেজিক সিদ্ধান্ত, গুরুত্বপূর্ণ ক্লায়েন্ট মিটিং বা টিম লিডারশিপের কাজ।
২. জরুরি কিন্তু কম গুরুত্বপূর্ণ: এগুলো অন্যদের কাছে ডেলিগেট করুন। যেমন – রুটিন রিপোর্ট তৈরি, ডাটা এন্ট্রি, বা সাধারণ মিটিং।
৩. গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু জরুরি নয়: এগুলো শিডিউল করুন বা যারা শিখতে চায় তাদের কাছে ডেলিগেট করুন।
৪. না জরুরি, না গুরুত্বপূর্ণ: এড়িয়ে চলুন বা বাদ দিন।
আপনার ম্যাট্রিক্স প্রতি সপ্তাহে আপডেট করুন। এতে আপনি দেখতে পাবেন কোন কাজগুলো অন্যদের কাছে দেওয়া যাবে।
ফলো-আপ সিস্টেম গড়ে তোলা
ডেলিগেশন শুধু কাজ বণ্টন করা নয়, ফলো-আপও সমান গুরুত্বপূর্ণ। একটি কার্যকর ফলো-আপ সিস্টেম তৈরি করতে:
চেকপয়েন্ট নির্ধারণ করুন: বড় প্রজেক্টগুলোকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে নিয়মিত আপডেট নিন। এতে সমস্যাগুলো আগেই চিহ্নিত করা যায়।
প্রযুক্তি ব্যবহার করুন: ট্রেলো, অ্যাসানা বা স্লাকের মতো টুল ব্যবহার করে টাস্ক ট্র্যাকিং সহজ করুন। এতে সবাই জানতে পারে কে কী করছে।
১-২-৩ পদ্ধতি অনুসরণ করুন:
১. প্রথম ফলো-আপ – কাজ শুরুর পরে
২. মধ্যবর্তী ফলো-আপ – কাজ চলাকালীন
৩. চূড়ান্ত ফলো-আপ – কাজ শেষে
ওপেন ডোর পলিসি রাখুন: টিম সদস্যরা যেন সহজেই সমস্যা নিয়ে আপনার কাছে আসতে পারে। তাদের প্রশ্ন করার জন্য উৎসাহিত করুন।
শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা তৈরি করুন: প্রতিটি ডেলিগেশন থেকে কী শিখলেন তা নোট করুন। পরের বার আরও ভালো ফলাফল পাবেন।
ব্যক্তিগত শক্তি ব্যবস্থাপনা

উচ্চ শক্তির সময়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করুন
আপনি কি লক্ষ্য করেছেন দিনের কোন সময়ে আপনার মস্তিষ্ক সবচেয়ে সতেজ থাকে? সকালের প্রথম কয়েক ঘণ্টা, নাকি দুপুরের পর? এই সময়গুলোই আপনার উচ্চ উৎপাদনশীলতা সময়, আর এখানেই গেম চেঞ্জার হ্যাক লুকিয়ে আছে।
আমি ব্যক্তিগতভাবে সকাল ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে সবচেয়ে কঠিন প্রজেক্টগুলো করি—ফোন অফ, ইমেইল বন্ধ, শুধুই ফোকাস। ফলাফল? দুপুর নাগাদ দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো শেষ!
এটাই একদম সহজ কিন্তু কার্যকর বাংলায় ব্যবসার হ্যাকস, যা আপনার দৈনিক আউটপুটকে নাটকীয়ভাবে বাড়াতে পারে।
The habit of taking strategic breaks
টানা ৮ ঘণ্টা কাজ করলে প্রোডাক্টিভিটি বাড়ে না, বরং কমে যায়। আমার ৫২/১৭ টেকনিক ব্যবহার করুন – ৫২ মিনিট কাজ, ১৭ মিনিট বিরতি।
বিরতির সময় স্ক্রিন থেকে দূরে যান। জানালার বাইরে তাকান। কিছু হাঁটাচলা করুন। মস্তিষ্কের বিশ্রাম দরকার।
একটা মজার ব্যাপার – এই বিরতিগুলোতেই প্রায়ই সেরা আইডিয়াগুলো আসে। গতকাল আমি বাগানে ৫ মিনিট হাঁটতে গিয়ে একটা বড় বিজনেস সমস্যার সমাধান পেয়ে গেলাম।
Energy-boosting diet
প্রতিদিন দুপুরে ভারী খাবার খাওয়ার পর কি ঘুম পায়? এটা সাধারণ ব্যাপার। আমাদের খাদ্যাভ্যাস আমাদের শক্তি নিয়ন্ত্রণ করে।
ছোট ছোট, বেশ কিছুবার খাবার খান। প্রোটিন, ফল, বাদাম দিয়ে শুরু করুন। চিনি ও প্রসেসড খাবার কমান।
আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি – দুপুরে সালাদ ও প্রোটিন খেলে বিকেলে শক্তি অনেক বেশি থাকে। কফি নয়, বরং পানি বেশি খান – হাইড্রেশন মস্তিষ্কের জন্য অপরিহার্য।
Exercise and meditation routine
দৈনিক ১৫ মিনিট ব্যায়াম আপনার শক্তি ৪০% বাড়াতে পারে। আমি প্রতিদিন সকালে ১০ মিনিট জগিং করি, কাজের মাঝে ৫ মিনিট স্ট্রেচিং করি।
ধ্যান মানসিক শক্তি বাড়ায়। আমি দিনে দুবার ৫ মিনিট করে শ্বাসের উপর মনোযোগ দিয়ে ধ্যান করি। এটা স্ট্রেস কমায় এবং ফোকাস বাড়ায়।
অনেকেই ভাবেন এসব করার সময় নেই। কিন্তু আসলে এটা সময় বাঁচায়। সকালে ১৫ মিনিট ব্যায়াম ও ধ্যান করে আমি দিনে অতিরিক্ত ২ ঘণ্টা প্রোডাক্টিভ থাকি। এর চেয়ে ভাল ইনভেস্টমেন্ট আর কী হতে পারে?
অটোমেশন সুবিধা ব্যবহার

রিপিটেটিভ কাজগুলো চিহ্নিত করুন
দিনের পর দিন একই কাজ করতে করতে কখনো ভেবেছেন কতটা সময় নষ্ট হচ্ছে? আসলে আমাদের কাজের সিংহভাগই বারবার করা যায় এমন কাজে ভরা। এমেইল চেক করা, ডাটা এন্ট্রি, রিপোর্ট তৈরি করা – এগুলো সবই অটোমেট করা সম্ভব।
প্রথমে, একটা নোটবুক রাখুন যেখানে পুরো সপ্তাহ ধরে আপনি যে কাজগুলো করেন সেগুলো লিখে রাখবেন। দেখবেন যে কিছু কাজ প্রতিদিন বা প্রতি সপ্তাহে আপনি একই ভাবে করছেন। এগুলোই আপনার অটোমেশনের প্রথম টার্গেট।
Master keyboard shortcuts
কীবোর্ড শর্টকাট – প্রোডাক্টিভিটির সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকরী উপায়। মাউস ধরা থেকে হাত সরিয়ে কিবোর্ডে রাখুন, দেখবেন কাজের গতি কতটা বেড়ে যায়।
সবচেয়ে কমন শর্টকাটগুলো আগে শিখুন:
- Ctrl+C, Ctrl+V, Ctrl+X: কপি, পেস্ট, কাট
- Alt+Tab: অ্যাপ সুইচ করতে
- Ctrl+Z: আনডু করতে
- Ctrl+S: ফাইল সেভ করতে
আপনার নিয়মিত ব্যবহৃত সফটওয়্যারের জন্য বিশেষ শর্টকাটগুলো খুঁজে বের করুন। যেমন, গুগল ডকে Alt+Shift+H চাপলে সব শর্টকাট দেখা যায়। সপ্তাহে একটা করে নতুন শর্টকাট শিখে নিন।
টেমপ্লেট ও স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করুন
একই কাজ বারবার? এই বিজনেস হ্যাকস আপনার সময় বাঁচাবে!
বারবার একই ধরনের ইমেইল, প্রেজেন্টেশন বা ডকুমেন্ট তৈরি করছেন? এটা আপনার প্রোডাক্টিভিটি ধ্বংস করে দিতে পারে। কাজ সহজ করতে এখনই টেমপ্লেট তৈরি করুন এটা একটা কার্যকর ছোট ব্যবসার কৌশল।
স্প্রেডশিটে রিপিটেটিভ ক্যালকুলেশনের জন্য ফর্মুলা সেট করে রাখুন। এক্সেলে ম্যাক্রো ব্যবহার করে আরো জটিল অটোমেশন তৈরি করতে পারেন।
📩 ইমেইল টেমপ্লেট: কমন রিপ্লাইয়ের জন্য জিমেইলে Canned Responses ব্যবহার করুন।
📊 স্প্রেডশিট হ্যাকস: রিপিটেটিভ ক্যালকুলেশন? এক্সেলে ফর্মুলা বা ম্যাক্রো ব্যবহার করুন।
⚙️ অটোমেশন টিপস: Zapier, IFTTT বা Microsoft Power Automate দিয়ে সেট করুন স্মার্ট অটোমেশন। যেমন নতুন ইমেইল এলে Slack-এ নোটিফিকেশন, Google Form-এ এন্ট্রি হলে ডেটা স্প্রেডশিটে আপডেট।
এই Business Hacks গুলো আপনার কাজকে শুধু সহজই করবে না, বরং প্রোডাক্টিভিটিও বাড়াবে ৩৫% পর্যন্ত!
ডিজিটাল ডিটক্স কৌশল

স্মার্টফোন ডিস্ট্রাকশন কমানোর টিপস
আজকের ব্যস্ত জীবনে স্মার্টফোন আমাদের প্রোডাক্টিভিটির সবচেয়ে বড় শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবার নোটিফিকেশন আসার সাথে সাথে আমরা কাজ থেকে বিচ্যুত হই।
আপনি কি জানেন, গবেষণায় দেখা গেছে একবার ফোন চেক করার পর আবার কাজে ফিরে আসতে গড়ে ২৩ মিনিট সময় লাগে? এই সমস্যা থেকে বাঁচতে:
- ফোনে Do Not Disturb মোড অন করুন কাজের সময়
- নোটিফিকেশন বন্ধ করে রাখুন (বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপের)
- ফোন দৃষ্টির বাইরে রাখুন – ড্রয়ারে বা অন্য রুমে
- ফোন গ্রে-স্কেল মোডে সেট করুন – রঙিন স্ক্রিন কম আকর্ষণীয় লাগবে
Set social media block hours
সোশ্যাল মিডিয়া একবার খুললে বন্ধ করা কঠিন। স্ক্রোলিং শেষ হয় না, আর আমাদের মূল্যবান সময় চলে যায়।
সমাধান? নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন:
- সকালে কাজ শুরুর আগে ৩০ মিনিট ব্লক করুন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে
- দুপুরের খাবারের পর ১৫ মিনিট ব্রেক নিন
- রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ৩০ মিনিট স্ক্রিন-ফ্রি থাকুন
আপনার ক্যালেন্ডারে এই সময়গুলো ব্লক করে রাখুন। কি অবাক করা ব্যাপার, এই ছোট পরিবর্তন আপনার প্রোডাক্টিভিটি দ্বিগুণ করে দিতে পারে!
Use the Focus Mode app
প্রযুক্তি দিয়েই প্রযুক্তির আসক্তি কমান:
- Forest অ্যাপ: ফোকাস করলে ভার্চুয়াল গাছ বাড়ে
- Focus@Will: মনোযোগ বাড়ানোর জন্য বিশেষ সঙ্গীত
- Freedom: নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট ব্লক করে
- Pomodoro টাইমার অ্যাপ: ২৫ মিনিট কাজ, ৫ মিনিট বিরতি
মনে রাখবেন, ডিজিটাল ডিটক্স মানে টেকনোলজি বর্জন নয়, বরং এটি সচেতনভাবে ব্যবহার করা। আপনার মস্তিষ্ককে বিশ্রাম দিন, প্রোডাক্টিভিটি বাড়ান।
ব্যবসায়িক যোগাযোগ অপ্টিমাইজেশন

ইমেল হ্যান্ডলিং টেমপ্লেট
আমরা সবাই জানি ইমেইল চেক করতে গিয়ে কত মূল্যবান সময় নষ্ট হয়। ছোট ব্যবসার মালিকদের জন্য এটা একেবারেই অপ্রয়োজনীয় চাপ তৈরি করে। কিন্তু এক্ষেত্রে টেমপ্লেট ব্যবহার করা এক দারুণ Business Hack! কমন রিপ্লাইগুলোর জন্য রেডি টেমপ্লেট তৈরি করে রাখলে আপনি প্রতিদিনের ইমেইল টাইম অনেকটাই কমিয়ে ফেলতে পারবেন।
আপনার মোস্ট ফ্রিকোয়েন্টলি ব্যবহৃত ইমেলগুলোর জন্য তৈরি করে রাখুন ৪-৫টি টেমপ্লেট। যেমন:
- মিটিং সেট করার জন্য
- প্রোডাক্ট ফলোআপ
- গ্রাহক ধন্যবাদ জ্ঞাপন
- সাপ্লায়ারদের সাথে যোগাযোগ
প্রতি সপ্তাহে ২-৩ ঘন্টা সময় বাঁচান শুধু টেমপ্লেট ব্যবহার করে!
এটি ছোট্ট কিন্তু কার্যকর বিজনেস হ্যাকস আপনার Business প্রোডাক্টিভিটি টিপস তালিকায় থাকা উচিত বিশেষ করে যারা ছোট ব্যবসা পরিচালনা করেন, তাদের জন্য এটি একটি অসাধারণ ছোট ব্যবসার কৌশল।
দ্রুত যোগাযোগের জন্য সঠিক চ্যানেল নির্বাচন
সব যোগাযোগের জন্য ইমেল ঠিক নয়। আপনার বার্তার প্রকৃতি অনুযায়ী সঠিক চ্যানেল বেছে নিন:
বার্তার ধরন | উত্তম চ্যানেল | কেন? |
জরুরি ডেসিশন | ফোন কল | তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় |
দলীয় আপডেট | স্ল্যাক/টিম চ্যাট | সবাই একসাথে দেখতে পারে |
প্রজেক্ট আপডেট | ইমেল | ট্র্যাক করা সহজ |
সাধারণ প্রশ্ন | হোয়াটসঅ্যাপ | দ্রুত ও অনানুষ্ঠানিক |
মনে রাখবেন, কোন প্ল্যাটফর্মে আপনার রিসিভার সবচেয়ে দ্রুত সাড়া দেয়? টেক্সট মেসেজ, স্ল্যাক, ইমেল – যেটা কাজ করে সেটাই বেছে নিন।
Maintain brevity in communication.
দীর্ঘ ইমেল পড়তে কেউই আগ্রহী নয়। আপনার বার্তাকে সংক্ষিপ্ত ও ফোকাসড রাখুন:
- ইমেলের বিষয় লাইনে কী চান সেটা স্পষ্ট করুন
- একটা ইমেলে একটাই টপিক নিয়ে আলোচনা করুন
- বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করুন জটিল তথ্য উপস্থাপনে
- ইমেলের শেষে কী একশন নিতে হবে সেটা পরিষ্কারভাবে লিখুন
ব্যবসায়িক যোগাযোগে “৫ বাক্য নিয়ম” ফলো করুন – যদি আপনার বার্তা ৫ বাক্যের বেশি হয়, তাহলে এটা হয়তো ফোন কল বা মিটিংয়ের বিষয়।
কর্মক্ষেত্রে যোগাযোগের সময় মনে রাখবেন – সময় টাকার সমান। সবার সময় বাঁচান, নিজেরও।
ডাটা-ড্রিভেন উৎপাদনশীলতা পরিমাপ

ব্যক্তিগত KPI সেট করুন
আপনি কি জানেন আপনার সময় কোথায় যাচ্ছে? বেশিরভাগ লোকেরাই জানে না। এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে ব্যক্তিগত KPI (Key Performance Indicators) সেট করা জরুরি।
আপনার লক্ষ্য হওয়া উচিত SMART – স্পেসিফিক, মেজারেবল, অ্যাচিভেবল, রিলেভেন্ট, টাইম-বাউন্ড। উদাহরণস্বরূপ, “আমি প্রতিদিন ৪টি মহত্বপূর্ণ কাজ শেষ করব” – এমন লক্ষ্য সহজেই পরিমাপযোগ্য।
সাধারণ ব্যক্তিগত KPI গুলির মধ্যে রয়েছে:
- দৈনিক সম্পন্ন করা কাজের সংখ্যা
- ডিপ ওয়ার্কে ব্যয় করা ঘন্টা
- প্রতিদিন কতবার ফোকাস ভাঙ্গে
- সময়মতো শেষ করা প্রজেক্টের শতাংশ
আপনার সময় ব্যবহার ট্র্যাক করুন
আমরা যা মাপি তা-ই উন্নত করি। সময় ট্র্যাকিং অ্যাপ ব্যবহার করে দেখুন আপনার সময় কোথায় যাচ্ছে। টোগল, রেসকিউটাইম, হারভেস্ট – এগুলো সব জনপ্রিয় অপশন।
শুরুতে কয়েকটা চমকে যাওয়ার মতো তথ্য পেতে পারেন! অনেকেই দেখতে পান যে তারা:
- ইমেল চেক করতে প্রতিদিন ২ ঘন্টা ব্যয় করেন
- সোশ্যাল মিডিয়ায় ৯০ মিনিট নষ্ট করেন
- সারাদিনে মাত্র ২-৩ ঘন্টা আসল কাজে ব্যয় করেন
- এই ডাটা থেকে আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন কোথায় সময় কাটাতে হবে, কোথায় কাটাতে হবে না।
Review weekly productivity
প্রতি শুক্রবার ১৫ মিনিট নিন আপনার সাপ্তাহিক পারফরম্যান্স রিভিউ করার জন্য। এটি উন্নতির জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী টুল।
আপনার রিভিউতে এই প্রশ্নগুলো জিজ্ঞাসা করুন:
- কোন ৩টি কাজে আমি সবচেয়ে বেশি মূল্য যোগ করেছি?
- কোন কাজগুলো আমাকে এনার্জি দিয়েছে বা নিঃশেষ করেছে?
- কোথায় আমি সময় নষ্ট করেছি?
- আগামী সপ্তাহে কী আমি অন্যভাবে করতে পারি?
Action items for continuous improvement
শুধু ডাটা সংগ্রহ করলেই হবে না সফল ব্যবসার আসল হ্যাক হল, সেই তথ্য থেকে কার্যকর সিদ্ধান্ত নেওয়া। প্রতি সপ্তাহের রিভিউ শেষে ২-৩টি সুনির্দিষ্ট অ্যাকশন আইটেম তৈরি করুন।
এই অভ্যাসটা অনেকেই এড়িয়ে যায়, কিন্তু এটা একধরনের বিজনেস হ্যাকস যা আপনার Business প্রোডাক্টিভিটি টিপস তালিকায় অবশ্যই রাখা উচিত। বিশেষ করে ছোট ব্যবসার কৌশল হিসেবে এটি অদ্বিতীয়; কারণ আপনি ডাটা থেকে বাস্তব রেজাল্টে পৌঁছাতে পারবেন।
উদাহরণ:
- আমি প্রতিদিন ইমেল চেকিং ২ ঘন্টা থেকে ৩০ মিনিটে কমাব
- আমি সকালের প্রথম ৯০ মিনিট শুধু হাই-ভ্যালু কাজে ব্যয় করব
- আমি টিম মিটিং ৬০ মিনিট থেকে ৩০ মিনিটে সংক্ষিপ্ত করব
মনে রাখবেন, উৎপাদনশীলতা এমন কিছু নয় যা আপনি অর্জন করেন এবং শেষ করেন। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া যেখানে আপনি ক্রমাগত ছোট ছোট অ্যাডজাস্টমেন্ট করেন ডাটা থেকে প্রাপ্ত ইনসাইটের ভিত্তিতে।

আপনার ব্যবসা এখন আরও প্রোডাক্টিভ হোক এই উৎপাদনশীলতা হ্যাকগুলি দিয়ে!
এই Business Hacks গুলো আপনার ব্যবসায়িক কার্যক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে সাহায্য করবে।
সঠিক টাইম ম্যানেজমেন্ট, ডিজিটাল টুল অপ্টিমাইজেশন এবং স্মার্ট ডেলিগেশন এই কৌশলগুলো
আপনাকে কম সময়ে আরও বেশি আউটপুট দিতে সক্ষম করে।
অটোমেশন সুবিধা ব্যবহার করে এবং ডিজিটাল ডিটক্স অনুশীলন করে, আপনি একটি ভারসাম্যপূর্ণ এবং ফলপ্রসূ কর্ম জীবন পেতে পারেন।
আজ থেকেই এই Business প্রোডাক্টিভিটি টিপস গুলো বাস্তবায়ন শুরু করুন। পরিবর্তন আপনি নিজেই অনুভব করবেন।
মনে রাখবেন, ডাটা-ড্রিভেন পরিমাপ ছাড়া অগ্রগতি ট্র্যাক করা যায় না। তাই সঠিকভাবে আপনার অগ্রগতি মনিটর করুন।
শুরুতে একটি বা দুটি ছোট ব্যবসার কৌশল প্রয়োগ করুন, তারপর ধীরে ধীরে আরও হ্যাক যুক্ত করুন।
আপনার আত্মবিশ্বাস যেমন বাড়বে, তেমনি বাড়বে আপনার আউটপুট!
সফলতার চাবিকাঠি আপনার হাতেই। এখনই একশন নিন।
Pingback: Google Ads vs Facebook Ads: Which One is Better for Your Business?